জাতীয় উন্নয়নে দক্ষ মানব সম্পদের বিকল্প নাই। আর দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টির প্রথম শর্তই হলো প্রাথমিক শিক্ষা। আধুনিক বিশ্বের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে গতিশীল ও সম্প্রসারিত করার মাধ্যমে প্রতিযোগিতামুলক বিশ্বে বাঙ্গালী জাতীকে একটি উন্নত জাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সংবিধানে শিক্ষাকে সর্বজনিন, বাধ্যতামুলক করে নিরক্ষর মুক্ত সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ০১/০৭/১৯৭৩ সালে তিনি একযোগে সাড়া বাংলাদেশে ৩৭২৭৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেছিলেন। জাতির জনকের অকাল প্রয়ানে তারই সুযোগ্য কন্যা আজকের বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ৯ জানুয়ারী ২০১৩ ইং তারিখে ২৬১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছেন। এটি প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি মাইল ফলক হিসাবে স্মরনীয় হয়ে থাকবে। তাঁর ঘোষিত রুপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাঙ্গালী জাতিকে শিক্ষিত ও যোগ্য নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সুনিদ্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা ও কর্মপরিকল্পনা নির্ধারন করেছেন, যা প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে ইতিবাচক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।
সহশ্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং সবার জন্য শিক্ষার লক্ষ্যমাত্রা অনুয়ায়ী ২০১৫ সালের মধ্যে দেশের সকল নাগরিকের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার ঘোষনা থাকলেও বর্তমান সরকার ২০১৪ সালের মধ্যে এ লক্ষ্য অর্জন সম্পন্ন করেছেন। এ লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচী গ্রহন ও বাস্তবায়ন করেছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস